পরিচ্ছদ : এগারো ( নামাজের দরজা খোলা, নামাজে রুকু, নামাজে সিজদা, তাশাহুদ, সালাম)

নামাজের দরজা খোলা

যখন তুমি ক্বিবলামুখী হও তোমার উচিত এ পৃথিবী থেকে, এর ভিতরে যে সব সৃষ্টি আছে ্এবং অন্যরা যা নিয়ে ব্যস্ত আছে তা থেকে নিরাশ হয়ে যাওয়া। তোমার অন্তর থেকে সব চিন্তা-ভাবনা দূর করে দাও যা তোমাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রতি অমনোযোগী করে তুলতে পারে। আল্লাহর বিশালত্বকে দেখো তোমার গভীরতম সত্বা দিয়ে এবং স্মরণ রাখো যে তুমি তাঁর সামনে দাঁড়াবে। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন, “ সেখানে প্রত্যেক সত্বা পরিচিত হবে তার সাথে যা সে আগে পাঠিয়েছে এবং তাদেরকে আল্লাহর কাছে ফেরত আনা হবে যিনি তাদের প্রকৃত পৃষ্ঠপোষক।” ( সূরা ইউনুস : ৩০)

ভয় ও আশার গোঁড়োতে দাঁড়াও। যখন তুমি তাকবীর বলো তোমার উচিত উচ্চ আকাশগুলো ও ভেজা পৃথিবীর মাঝে যা আছে তাকে তুচ্ছ জ্ঞান করা, যার সবই তাঁর মর্যাদার নীচে। কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর বান্দাহর অন্তরের দিকে তাকান যখন সে তাকবীর বলছে এবং দেখেন যে তার অন্তরে কিছু একটা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শ্রেষ্ঠত্বের ঘোষণার সত্যতাকে বাঁধা দিচ্ছে তখন তিনি বলেন, “ হে মিথ্যাবাদী! তুমি কি আমাকে ধোঁকা দেওয়ার চেষ্টা করছো? আমার শক্তি ও মর্যাদার শপথ, আমি তোমাকে আমার স্মরণের মিষ্টতা থেকে বঞ্চিত করবো এবং আমি আমার নৈকট্য থেকে এবং আমার সাথে ঘনিষ্ট মিলনের আনন্দ থেকে তোমাকে পর্দার মাধ্যমে দূরে সরিয়ে রাখবো।”

জেনে রাখো যে, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে তোমার খেদমতের কোন প্রয়োজন নেই। তুমি, তোমার ইবাদত ও তোমার প্রার্থনার তিনি মুখাপেক্ষী নন। তিনি তোমাকে ডাকেন তাঁর নেয়ামত দিয়ে তোমার প্রতি রহমত করার জন্য, তোমাকে তাঁর শাস্তি থেকে দূরে সরিয়ে রাখার জন্য, তোমাকে তাঁর সন্তুষ্টির পথে পরিচালিত করার জন্য এবং তোমার জন্য তাঁর ক্ষমার দরজা খুলে দেওয়ার জন্য। যদি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বিশ্বজগতে যা কিছু সৃষ্টি করেছেন তা বহুবার সৃষ্টি করতেন, চিরকালব্যাপী, কোন শেষ ছাড়া, আর যদি তারা তাঁকে সবাই প্রত্যাখ্যান করতো অথবা তাঁর সাথে ঐক্যবদ্ধ হতো তবুও আল্লাহর জন্য তা একই হতো। প্রাণিকুলের ইবাদত থেকে তাঁর কাছে যা আছে তা হলো তাঁর উদারতা এবং শক্তির প্রদর্শনী। অতএব নম্রতাকে বানাও তোমার পোষাক এবং অক্ষমতাকে বানাও তোমার গায়ের চাদর। প্রবেশ করো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ক্ষমতার আরশের নীচে, তাহলে তুমি তাঁর প্রভুত্বের কল্যাণ লাভ করতে পারবে - তাঁর কাছে সাহায্য ও তাঁর কাছে আশ্রয় চেয়ে।

নামাজে রুকু

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার বান্দাহ যখন সত্যিকারভাবে মাথা ঝোঁকায় (রুকু করে) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর ঔজ্জ্বল্যের আলো দিয়ে তাকে সাজান, তাকে ছায়া দেন তাঁর মহত্ত্বের ছায়াতলে এবং তাকে পোষাক পরান তাঁর পবিত্রতার পোষাক দিয়ে। রুকু হলো প্রথম এবং সিজদাহ দ্বিতীয়।রুকুতে আছে সৌজন্য এবং সিজদাহতে আছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নৈকট্য। যে সৌজন্যে ভালো নয় সে নৈকট্যের যোগ্য নয়; অতএব ‘রুকু’-র মাধ্যমে মাথা ঝোঁকাও তার মত যে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রতি বিনীত, অন্তরে মর্যাদাশূণ্য এবং তাঁর ক্ষমতার অধীনে ভীত, অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলো  আল্লাহর প্রতি সমর্পিত তার মত যে ভীত ও দুঃখীত এজন্য যে, সে হয়তো যারা রুকু করে তাদের মত কল্যাণ পেতে ব্যর্থ হবে।

বর্ণিত আছে রাবি ইবনে কুসাইম এক রুকুতে সারা রাত জাগতো সকাল পর্যন্ত। সকালে সে দীর্ঘনিশ্বাস ফেলে বলতো, “ হায়, মুখলেস ব্যক্তিরা সামনে চলে গেছে এবং আমরা বাদ পড়ে গেছি।” তোমার রুকু শুদ্ধ করো পিঠ সোজা রেখে, দাঁড়ানো অবস্থায় তোমার উচ্চাশা থেকে তাঁর দাসত্ব করার জন্য নীচে নেমে এসে যা শুধু তাঁর সাহায্যের মাধ্যমেই ঘটে। তোমার অন্তর পালিয়ে আসুক শয়তানের কুমন্ত্রণা, ধোঁকা ও প্রতারণা থেকে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাঁর বান্দাহদেরকে উঁচুতে উঠাবেন তাঁর প্রতি তাদের  বিনয় অনুযায়ী এবং তাদেরকে পরিচালিত করবেন বিনয়, আত্মসমর্পণ ও মর্যাদাশূণ্যতার শিকড়ের দিকে তাঁর বিশালত্বের সাথে তাদের গভীরতম সত্তার পরিচিতির গভীরতা অনুযায়ী।

নামাজে সিজদাহ

যে ব্যক্তি সত্যিকার সিজদাহ করে সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে কোনভাবেই হারায় না, এমনও যদি হয় যে সে তা একবার করেছে তার সারা জীবনে; কিন্তু যে ব্যক্তি তার রবকে ঐ অবস্থায় (সিজদায়) ছেড়ে যায় সে সম্মৃদ্ধি লাভ করে না। সে তার মত যে নিজেকে ধোঁকা দেয়, এবং এ জীবনের পরে যে আনন্দ ও আরাম তা অবহেলা করে এবং ভুলে যায় যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদের জন্য প্রস্তুত করেছেন যারা সিজদা করে।

যে ব্যক্তি তার সিজদায় ভালো করে সে কখনোই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছ থেকে দূরে নয়; আর যে ব্যক্তি অসৌজন্য দেখায় এবং তাঁকে সম্মান করাতে অবহেলা করে যেহেতু তার অন্তর সিজদা অবস্থায় আল্লাহ ছাড়া অন্য কিছুর সাথে যুক্ত তাই সে কখনোই তাঁর নিকটবর্তী হবে না। অতএব, সিজদা করো তাঁর সিজদার মত যে নিজেকে মর্যাদাশূণ্য দেখে এবং জানে যে তাকে সৃষ্টি করা হয়েছে মাটি থেকে যার উপরে লোকেরা হাঁটা-চলা করে এবং তাকে যে বীর্য থেকে তৈরি করা হয়েছে তা সবার কাছে অপবিত্র এবং তাকে জীবিত সত্তা বানানো হয়েছে যখন তার কোন অস্তিত্ব ছিলো না।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সিজদাকে করেছেন ব্যক্তির অন্তরে, গভীরতম সত্বায় ও রুহের ভিতরে তাঁর নিকটবর্তী হওয়ার  ক্ষণ। যে তাঁর নিকটবর্তী হয় সে তিনি (আল্লাহ) ছাড়া আর সবকিছু থেকে দূরে। তুমি কি দেখো না যে সিজদা বাইরের দিকে সম্পূর্ণ হয় না তা যতক্ষণ না সব জিনিস থেকে চলে যাওয়া হয় এবং চোখ যা দেখে তার উপর পর্দা পড়ে যায়? আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা চান ভেতরের সত্তাও সেরকম হোক। যদি নামাজের ভিতর কারো অন্তর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ছাড়া অন্য কিছুর সাথে যুক্ত থাকে সে সেই জিনিসরই নিকটবর্তী হয়ে আছে েএবং সে তার নামাজে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যা চান তার বাস্তবতা থেকে বহু দূরে। কারণ তিনি বলেছেন, “ আল্লাহ কোন ব্যক্তিকে তার বুকের ভেতরে দু’টো অন্তর দেননি।” ( সূরা আহযাব ঃ ০৪)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) - এর ভাষায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন, “ যখন আমি কোন বান্দাহর অন্তরের উপর তাকাই, আমি জানি সত্যিই আমার জন্য তার আন্তরিক ভালোবাসা ও আনুগত্য আছে কিনা এবং আমার সন্তুষ্টি খোঁজ করে কিনা। এরপর আমি তার দায়িত্ব নিই এবং তার নিকটবর্তী হই। যে তার নামাজে আমাকে ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে ব্যস্ত থাকে সে তাদের একজন যে নিজেকে নিয়ে মশকরা করে এবং তার নাম ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকাতে লেখা হয়।”
 
তাশাহুদ

তাশাহুদ হলো আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রশংসা। তোমার গভীরতম সত্তায় তাঁর দাস হয়ে যাও তোমার কাজকর্মে তাঁর প্রতি ভীত ও বিনয়ী হয়ে যেহেতু তুমি কথায় ও দাবীতে তাঁর দাস। তোমার জিহ্বার সত্যবাদীতাকে যুক্ত করো তোমার গভীরতম সত্তার বিশুদ্ধ সত্যবাদীতার সাথে।

তিনি তোমাকে দাস হিসেবে সৃষ্টি করেছেন এবং তোমাকে আদেশ করেছেণ তাঁর ইবাদত করতে তোমার অন্তর, তোমার জিহ্বা ও তোমার অঙ্গ প্রত্যঙ্গ দিয়ে। তাঁর প্রতি তোমার দাসত্বকে বাস্তবে অনুভব করো তোমার উপর তাঁর প্রভুত্বের মাধ্যমে। জেনে রাখো প্রাণিকুলের কপালের চুল তাঁর হাতে। প্রাণিকুল শ্বাসপ্রশ্বাস ও দৃষ্টি ক্ষমতার অধিকারী হয় না তাঁর শক্তি ও ইচ্ছা ছাড়া। তারা তাঁর রাজ্যে সামান্য জিনিসও জন্ম দিতে অক্ষম যদি না তা হয় তাঁর অনুমতি ও ইচ্ছা অনুযায়ী। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন, “ তোমার রব সৃষ্টি করেন এবং যাকে তাঁর ইচ্ছা বাছাই করেন; বাছাই করাতে তাদের কোন অধিকার নেই, ক্রুটির উর্ধ্বে আল্লাহ এবং তিনি তারও উপরে  যা তারা (তাঁর সাথে) যুক্ত করে।” ( সূরা কাসাস ঃ ৬৮)

অতএব আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা দাস হও, কথা ও ঘোষণার মাধ্যমে তাঁকে স্মরণ করে এবং তোমার জিহ্বার সত্যতাকে সংযুক্ত করো তোমার গভীরতম অন্তরে পবিত্রতার সাথে, কারণ তিনি তোমাকে সৃষ্টি করেছেন। তিনি এত শক্তিধর ও এত ‍উচ্চ মর্যাদার যে কারো ইচ্ছা শক্তি নেই তাঁর পূর্ববর্তী ইচ্ছা শক্তির মাধ্যম ছাড়া। দাসত্বের অবস্থা পরিপূর্ণ করো তাঁর প্রজ্ঞায় সন্তুষ্ট থেকে এবং ইবাদতের মাধ্যমে তাঁর আদেশগুলো পালন করার উদ্দেশ্যে।

তিনি তোমাকে আদেশ করেছেন তাঁর হাবীব ( ভালোবাসা) মুহাম্মাদের উপরে দরুদ পাঠানোর জন্য, আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা যেন তাকে ও তার পরিবারের উপর রহমত ও শান্তি বর্ষণ করেন। অতএব যুক্ত করো তোমার অনুরোধকে মুহাম্মাদের কাছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে প্রার্থনার সাথে, মুহাম্মাদের প্রতি আনুগত্যকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রতি আনুগত্যের সাথে এবং তোমার মোহাম্মাদকে দেখার তোমার আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে দেখার সাথে।সতর্ক দৃষ্টি রেখো যেন তুমি জ্ঞানের রহমত থেকে বঞ্চিত না হও যা লুকানো আছে তার (মুহাম্মদ-সাঃ) পবিত্রতার প্রতি সম্মান জানানোর ভিতরে - তা না হলে তার উপরে দরুদ পাঠানোর উপকারিতা লাভের সুযোগ থেকে প্রত্যাখ্যাত হবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে আদেশ করেছেন তোমার জন্য ক্ষমা চাইতে এবং তোমার জন্য সুপারিশ করতে যখন তুমি আদেশ ও নিষেধগুলো এবং সুন্নাহ ও যে আদবগুলো (সৌজন্য) আছে যা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) - এর মাধ্যমে মানুষের কাছে প্রদর্শিত হয়েছে তা পালন করবে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে তার মহান মর্যাদা সম্পর্কে তোমার জানা থাকা উচিত।

সালাম

নামাজের শেষ তাসলিম (শান্তির শুভেচ্ছা) - এর অর্থ হচ্ছে নিরাপত্তা, আর তা হলো - যে ব্যক্তি আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার আদেশ ও তাঁর রাসুলের (সাঃ) সুন্নাহ পালন করলো তাঁর প্রতি বিনীত হয়ে এবং ভয়ের সাথে সে এ পৃথিবীর দুঃখ-কষ্ট থেকে নিরাপত্তা লাভ করলো এবং আখিরাতের শাস্তি থেকে মুক্ত থাকলো। আল-সালাম (শান্তি) আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নামগুলোর একটি , যা তিনি তাঁর সৃষ্টির কাছে আমানত দিয়েছেন যেন তারা তা ব্যবহার করে তাদের আচার ব্যবহারে, আমানত রক্ষায় এবং চুক্তিতে এবং তাদের সাথীদের সমর্থনে ও সমাবেশগুলোতে এবং তাদের সুস্থ সামাজিক সম্পর্কের জন্য।

        যদি তুমি সালামকে এর যথাযথ জায়গায় প্রতিষ্ঠিত করতে চাও এবং এর অর্থ পরিপূর্ণ করতে চাও তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে ভয় করো এবং তোমার বিশ্বাস, তোমার অন্তর ও তোমার বুদ্ধিকে সুস্থ করো। এগুলোকে বিদ্রোহের অন্যায় দিয়ে কালিমাযুক্ত করো না। তোমার অভিভাবকরা যেন তোমার কাছ থেকে নিরাপদ থাকে; তাদের প্রতি তোমার দুর্ব্যবহার দিয়ে তাদেরকে দুশ্চিন্তাযুক্ত অথবা বিরক্ত অথবা দূরে সরিয়ে দিও না, তোমার বন্ধুদের সাথেও করো না এবং তোমার শত্রুদের সাথেও করো না।যদি কোন ব্যক্তির নিকটজনেরা তার কাছ ্ থেকে নিরাপদ না থাকে তাহলে যারা তার কাছ থেকে সবচেয়ে দূরে তারা সবচেয়ে নিরাপদ। যে ব্যক্তি সালামকে এর যথাযোগ্য স্থানে প্রতিষ্ঠিত করে না - যখন তা প্রতিষ্ঠিত করা উচিত, তাহলে তার না হচ্ছে শান্তি, না আছে আত্মসমর্পণ। সে তার সালামে মিথ্যাবাদী - যদি সে লোকজনের মাঝে তা ব্যবহার করে শুভেচ্ছা আকারেও।

জেনে রাখো মানুষের অস্তিত্ত বজায় আছে এ পৃথিবীর পরীক্ষা ও দুঃখ-কষ্টের মাঝে। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাকে পরীক্ষা করতে পারেন তাঁর রহমত দিয়ে তার কৃতজ্ঞতাবোধ দেখার জন্য অথবা দুঃখ-কষ্ট দিয়ে দেখার জন্য যে সে তাঁকে মেনে চলার বিষয়ে দৃঢ়তা ও উঁচু মানসিকতা প্রদর্শণ করে কি না, অথবা তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহে অস্মানিত হয় কিনা, যদিও তাঁর সন্তুষ্টি ও রহমতে পৌঁছানো যায় না তাঁর অনুগ্রহ ছাড়া।তাঁকে মেনে চলার একমাত্র উপায় হচ্ছে যখন তিনি সফলতা দান করেন: কেউ তাঁর কাছে সুপারিশ করতে পারে না তাঁর অনুমতি ও রহমত ছাড়া।


Reactions

Post a Comment

0 Comments