পরিচ্ছদ : পনেরো (সম্পদের লোভ, সত্য-মিথ্যার স্পষ্ট প্রকাশ, বিচারবোধ,মিসওয়াক/ দাঁতমাজা, শৌচাগার)


সম্পদের লোভ

সম্পদের লোভে কোন কিছু চেয়ো না; কারণ তুমি যদি তা উপেক্ষাও করো তা তোমার কাছে আসবেই, যদি তা তোমার জন্য নির্দিষ্ট হয়েই থাকে। তখন তুমি তোমার অন্তরে আল্লাহর সাথে আরাম পাবে এবং তা ত্যাগ করার জন্য পাবে প্রশংসা;  কিন্তু তোমাকে অভিযুক্ত করা হবে তা খোঁজায় তাড়াগুড়ো করার জন্য এবং তাঁর উপর আস্থা না রাখার জন্য এবং আল্রাহর সিদ্ধান্তে সন্তুষ্ট না থাকার জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা এই পৃথিবীকে সৃষ্টি করেছেন একটি ছায়ার মতো; যখন তুমি এর পেছনে ছুট, তা তোমাকে ক্লান্ত করে ফেলে এবং একে তুমি কখনই ধরতে পারো না। যদি তুমি একে ছেড়ে দাও তা তোমার পিছনে লেগে থাকবে সর্বক্ষণ এবং তোমাকে ক্লান্ত হওয়ার জন্য কোন কারণ দেবে না।

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “ সম্পদ - লোভী ব্যক্তি বঞ্চিত; সে বঞ্চিত থাকা সত্বেও যেখানেই সে থাকুক সে অভিযুক্ত। কারণ সে বঞ্চিত ছাড়া আর কী হবে যখন সে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার চুক্তি থেকে পালায় এবং তাঁর কথার বিরোধিতা করেঃ”  আল্রাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেন, 

“ আল্লাহ, যিনি তোমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন, এরপর তোমাদের জীবনোপকরণ দিয়েছেন। এরপর তিনি তোমাদের মৃত্যু দেন, এরপর তোমাদেরকে জীবিত করেন।” (সূরা রূম : ৪০) 

সম্পদ-লোভী ব্যক্তি সাতটি কঠিন সমস্যাপূর্ণ খারাপের মাঝে থাকে। যথাঃ 

১) চিন্তা- যা তার দেহের ক্ষতি করে কিন্তু কোন সাহায্য করে না। 

২) দুঃচিন্তা - যার কোন শেষ নেই। 

৩) মানসিক ক্লান্তি - যা থেকে সে বিশ্রাম পাবে শুধু মৃত্যুতে, যদিও সে বিশ্রামের সময়ই সবচেয়ে বেশী মানসিক ক্লান্তিতে থাকে। 

৪) ভয় - যা সে ভয় করে তাকে তার মধ্যেই ফেলে। 

৫) দুঃখ - যা তার ভরণপোষণে কোন লাভ না এনে সমস্যার সৃষ্টি করে। 

৬) হিসাব-নিকাশ - যা তাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার শাস্তি থেকে রেহাই পাবে না যদি না তিনি তাকে ক্ষমা করেন। 

৭) শাস্তি - যা থেকে কোন পালায়ন অথবা রক্ষা নেই।

 যে ব্যক্তি আল্লাহু সুবহানাহু ওয়া তায়ালার প্রতি আস্থা রাখে সে সকাল ও সন্ধ্যা তাঁর দেওয়া নিরাপত্তা ও সুস্থতার ভেতর কাটায়। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তার যা প্রয়োজন তা তার জন্য দ্রুত এগিয়ে দিয়েছেন এবং তার জন্য প্রস্তুত করেছেন বিভিন্ন জিনিস যা শুধু আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা জানেন।

সম্পদের লোভ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার ক্রোধ থেকে প্রবাহিত হয়। যখন বান্দাহ ইয়াক্বীনবিহীন নয় তখন সে সম্পদ লোভী নয়। ইয়াক্বীন হলো ইসলামের যমীন এবং ঈমানের আকাশ।


সত্য-মিথ্যার স্পষ্ট প্রকাশ

আরেফদের ঘনিষ্ঠ কথোপকথনে রয়েছে তিনটি মূল ঃ ভয় আশা ও প্রেম। ভয় হচ্ছে জ্ঞানের শাখা, আশা হচ্ছে ইয়াক্বীনের শাখা এবং প্রেম হচ্ছে মারেফাতের শাখা। ভয়ের প্রমাণ হচ্ছে পালায়ন, আশার প্রমাণ হচ্ছে সন্ধান এবং প্রেমের প্রমাণ হচ্ছে অন্য সবার ্উপরে মাহবুবকে (যাকে ভালোবাসা হয়) স্থান দেয়া।

যখন জ্ঞানের সত্যায়ন হয় সত্যবাদিতায় তখন সে ভয় পায়। যখন ভয় হয় সত্যিকার - সে পালায়। যখন সে পালায় -  সে রক্ষা পায়। যখন সে অন্তরে ইয়াক্বীনের নূর দেখতে পায় সে উপচে পড়া নেয়ামত দেখতে পায়। যখন উপচে পড়া নেয়ামতের দৃশ্য দৃঢ় হয় তথন আশা আছে।

যখন সে আশার ভিতরে বিশ্বাসের মিষ্টতা অনুভব করে - সে সন্ধান করে। যখন সে সন্ধানে সাফল্য লাভ করে সে তা পায়্। যখন মারেফাতের নূর তার অন্তরে প্রকাশিত হয় - তখন প্রেমের মৃদু বাতাস নড়ে ওঠে, সে মাহবুবের ছায়ায় আশ্রয় নেয় এবং মাহবুবকে সবার উপরে স্থান দেয়, তাঁর আদেশগুলো মেনে চলে এবং তাঁর নিষেধগুলো এড়িয়ে চলে এবং সবকিছুর উপরে সেগুলোকে স্থান দেয়।যখন সে নিবিড় সান্নিধ্যের জন্য অধ্যাবসায় চালায় তাঁর আদেশ মেনে ও নিষেধ এড়িয়ে চলার মাধ্যমে তখন সে নিবিড় মিলন ও নৈকট্যের আত্মায় পৌছে গেছে।

এ তিনটি মূল হচ্ছে আশ্রয়কেন্দ্র, মসজিদ ও কাবাঘরের মতো ঃ যে এ পবিত্র অঙ্গনে প্রবেশ করলো সে অন্য লোকের কাছ থেকে নিরাপদ হয়ে গেল। যদি কোন ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে তাহলে তার ইন্দ্রিয়গুলো অবাধ্যতায় ব্যবহার  হওয়া থেকে নিরাপদ হয়ে গেলো এবং যে ব্যক্তি কাবাঘরে প্রবেশ করলো তার অন্তর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার স্মরণ ছাড়া অন্য যে কোন বিষয় ‍ নিয়ে ব্যস্ত থাকা থেকে নিরাপদ হয়ে গেল।

হে বিশ্বাসী, মনোযোগ দাও, যদি তুমি এমন অবস্থায় থাকো যে তুমি মৃত্যুর সাথে সাক্ষাতের বিষয়ে সন্তুষ্ট আছো , তাহলে আল্লাহকে ধন্যবাদ জানাও তার অনুগ্রহ ও নিরাপত্তা দানের জন্য। যদি তা এছাড়া অন্য কিছু হয় তাহলে দৃঢ় সিন্ধান্তের সাথে এ থেকে সরে যাও এবং তোমার জীবনের সে অংশের জন্য দুঃখ করো যা উদাসীনতায় কেটেছে।

আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সাহায্য চাও তোমার বাইরের প্রকৃতিতে অন্যায় কর্মকান্ড থেকে  পবিত্র করার জন্য  এবং তোমার ভিতরের সত্তার ত্রুটিগুলোকে সাফ করো। কথা গ্রাহ্য না করার শেকলগুলোকে তোমার অন্তর থেকে কেটে ফেলো এবং তোমার নফসের কামনা-বাসনার আগুনকে নিভিয়ে ফেলো।


বিচারবোধ

অন্তর চার প্রকারের যে কোন একটি হতে পারে ঃ উঁচুতে উঠানো, খোলা, নিচু এবং থেমে থাকা। অন্তর উচুতে উঠা (রাফ) নিহিত রয়েছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার স্মরণের মাঝে, অন্তর খোলা (ফাত্হ) নিহিত রয়েছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সন্তুষ্টিতে, অন্তরের নিচু (খাফদ) হয়ে থাকা নিহিত রয়েছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে মগ্ন থাকার ভিতরে েএবং অন্তরে থেমে থাকা (ওয়াক্বফ) নিহিত রয়েছে  আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ছাড়া সবকিছুতে সাড়া দেয়াতে।

তুমি কি দেখোন না যে যখন কোন বান্দাহ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে আন্তরিক শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে তখন আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ও তার মাঝে প্রত্যেক পর্দা সরিয়ে দেয়া হয়? যদি অন্তর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সিদ্ধান্ত মেনে নেয়া এবং তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকে তাহলে কীভাবে সুখ, আনন্দ ও পৃথিবীর আরাম নিজেদেরকে তার কাছে মেলে ধরবে? যখন অন্তর পৃথিবীর কিছু বিষয় ও উপায় নিয়ে ভাবনায় ব্যস্ত থাকে তথন কীভাবে তা খুঁজে পাবে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা কী বলেছেন? তখন অন্তর সংকীর্ণ ও অন্ধকার হয়ে যায় একটি জনমানবহীন ধ্বংসপ্রাপ্ত বাড়ির মতো, যার না আছে কোন সমৃদ্ধি আর না আছে  কোন বাসিন্দা। যখন কোন ব্যক্তি আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়া তায়ালার স্মরণ থেকে অমনোযোগী হয়ে পড়ে তখন তুমি তাকে দেখবে তার অগ্রযাত্রাকে ধামিয়ে দেওয়া হয়েছে এবং পর্দার নিচে পড়ে  গেছে। সে হয়েগেছে অচল, অন্ধকার, সেই আলো পরিত্যাগ করার কারণে  যা রব -  এর প্রতি বান্দাহর শ্রদ্ধা প্রদর্শণ থেকে উৎসারিত হয়। উচুঁতে উঠার (রাফ) চিহ্ন নিহিত আছে প্রত্যেক বিষয়ে একমত থাকায়, বিরোধীতার অনুপোস্থিতীতে এবং সার্বক্ষণিক আকাঙ্খায়। ফাত্হ ( খোলা) নিহিত রয়েছে আল্লাহর উপর আস্থাপূর্ণ নির্ভরতায়, সত্যবাদিতা ও ইয়াক্বীনের মাঝে। খাফদ ( নীচু হয়ে থাকা) - এর চিহ্ন নিহিত আছে গর্ব, লোক দেখানো এবং লোভের মাঝে; এবং ওয়াক্বফ ( থেমে থাকা)  - এর চিহ্ন নিহিত আছে আনুগত্যের মিষ্টতার প্রস্থানে, বিদ্রোহের তিক্ততায় এবং কী হারাম ও কী হালাল, সেই জ্ঞানে সন্দেহ সৃষ্টি হওয়াতে।


মিসওয়াক (দাঁত মাজা)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন,“ মিসওয়াক ব্যবহারে মুখ পরিষ্কার হয় এবং তা আল্লাহকে সন্তুষ্ট করে” এবং তিনি এটিকে সুন্নাতের একটি অংশ করেছেন। বাইরের ও ভিতরের সত্তা উভয়ের জন্যই  এটি উপকারী যা বুদ্ধিমান লোকেরা গুণে শেষ করতে পারবে না। খাবার ও পানীয়ের কারণে দাঁতের যে রং বদলায় তা যেভাবে তুমি দূর করো সেভাবে তুমি তোমার অন্যায় কর্মকাণ্ডের অপবিত্রতা দূর করো বিনীত অনুরোধ, বিনয়, রাত্রের নামায এবং সূর্য ওঠার আগে ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমে। পবিত্র করো তোমার বাইরের সত্তাকে নাপাকি থেকে এবং তোমার ভিতরের সত্তাকে বিরোধীতার ময়লা-কাদা এবং যে কোন হারাম কাজ করা থেকে;আর একই সময়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার জন্য বিশুদ্ধ চিত্তে কাজ করে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) এর (মিসওয়াক) ব্যবহারকে একটি উদাহরণ হিসাবে উপস্থিত করেছেন সাবধান এবং  মনোযোগী লোকদের জন্য। মেসওয়াক হচ্ছে একটি পরিষ্কার , নরম চারা এবং একটি বরকতপূর্ণ গাছে সরু ডাল। দাঁতগুলোকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা সৃষ্টি করেছেন মুখের ভিতরে খাবার খাওয়ার যন্ত্র হিসাবে এবং চিবানোর মাধ্যম হিসাবে, খাবার খাওয়ার আনন্দের কারণ হিসাবে এবং অন্ত্রকে সুস্থ রাখার জন্য। দাঁতগুলো হচ্ছে খাঁটি মুক্তা, যেগুলো ময়লা হয়ে যায় খাবার চিবানোর সময় উপস্থিত থাকার কারণে, যা মুখের ভিথরে দুর্গন্ধ সৃষ্টি করে এবং মাড়িতে ক্ষয়ের সৃষ্টি করে। যখন বুদ্ধিমান বিশ্বাসী নরম ডাল দিয়ে পরিষ্কার করে এবং একে খাঁটি মুক্তার উপরে বোলায় তথন সে তাদের ক্ষয় ও পরিবর্তন দূর করে এবং তাদেরকে আদি অবস্থায় নিয়ে যায়।

এরকমভাবেই আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা অন্তরকে পবিত্র ও পরিষ্কার করে সৃষ্টি করেছেন এর খাদ্য হিসেবে দিয়েছেন ‍যিকর (স্মরণ), গভীর ভাবনা, ভয় ও শ্রদ্ধাকে। যখন পবিত্র অন্তর ‍উদাসীনতা এবং বিরক্তির কারণে ধুসর হয়ে যায় তখন তা চকচকে করা যায় তওবার বার্নিশের মাধ্যমে এবং পরিষ্কার করা যায় অনুতাপের পানি দিয়ে যেন তা ফিরে যায় তার আদি অবস্থায় ও মৌলিক সত্তায়। যে রকম আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা বলেছেন, “ নিশ্চয়ই আল্লাহ তাদের ভালোবাসেন যারা তাঁর দিকে ফিরে আসে এবং তিনি তাদেরকে ভালোবাসেন যারা নিজেদেরকে পবিত্র করে।” (সূরা বাকারা ঃ ২২২)

রাসুলুল্লাহ (সাঃ) মিসওয়াক ব্যবহারের উপদেশ দিয়েছেন যেন তা দাঁতগুলোর উপর ব্যবহার করা হয়; কিন্তু তিনি আরও যে অর্থ বুঝিয়েছেন তা উপরের উদাহরণে আমরা উল্লেখ করেছি, তা এ কারণে যে যদি কোন ব্যক্তি বাইরের উদাহরণ থেকে ভিতরের শিক্ষা গ্রহণ করার উদ্দেশ্যে বিশ্বাসের নীতি ও মূল- এর বিষয়ে মনকে অন্য চিন্তা থেকে মুক্ত করে, তাহলে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা প্রজ্ঞার ঝর্ণাগুলো খুলে দিবেন এবং তাঁর উপচে পড়া দান থেকে তাকে আরও দিবেন, কারণ আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা তাদের পুরস্কারের অবহেলা করেন না যারা ভালো কাজ করে।


শৌচাগার ব্যবহার

আরবীতে শৌচাগারকে বলা হয় ‘বিশ্রামের স্থান’, কারণ সেখানে মানুষ অপবিত্রতার বোঝা থেকে বিশ্রাম পায় এবং নিজেদেরকে নোংরা ও ময়লা থেকে খালি করে। সেখানে একজন বিশ্বাসী চিন্তা করতে পারে সে কীভাবে খাবার ও এ পৃথিবীর ক্ষয়িঞ্চু জিনিস থেকে নিজেকে পরিষ্কার করে এবং কীভাবে তার মৃত্যু আসবে একইভাবেঃ অতএব সে স্বাচ্ছন্দ খুঁজে পাক এ পৃথিবীকে এড়িয়ে যাওয়াতে, একে পাশে েসরিয়ে রাখতে এবং তার নিজেকে ও দার অন্তরকে এর মনোযোগ কাড়া থেকে মুক্ত করতে। সে ঘৃণা করে অপবিত্রতা, শৌচাগার এবং নোংরাকে, এ কথা ভেবে যে কীভাবে একটি জিনিস এক অবস্থায় ভালো এবং অন্য অবস্থায় ঘৃণ্য হয়ে যায়। সে জানে সন্তুষ্টি ও সতর্কতা ধরে রাখা তাকে দুই পৃথিবীতেই আরাম এনে দেবে।

এভাবে আরাম আসে এ পৃথিবীকে তুচ্ছ ভেবে, এর আনন্দ ফুর্তিকে ত্যাগ করে এবং যা হারাম ও সন্দেহজনক তার অপবিত্রতা দূর করে। একজন ব্যক্তি নিজের উপরে গর্বের দরজাকে বন্ধ করে দেয় যখন সে তা বুঝতে পারে। সে অন্যায় কাজ থেকে পালায় এবং দরজা খুলে দেয় বিনয়, অনুতাপ ও মধ্যস্থতার জন্য। সে সংগ্রাম করে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার আদেশ ও নিষেধ মানতে, উত্তম পরিণতি ও আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নৈকট্যের সন্ধানে।সে নিজেকে বন্দি করে ভয় ও দৃঢ়তা এবং ক্ষুধাগুলোকে নিয়ন্ত্রণের কারাগারে, যতক্ষণ পর্যন্ত না সে পৌছে যায় আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নিরাপদ আশ্রয়ে- আসন্ন পৃথিবীতে এবং তাঁর সন্তুষ্টির স্বাদ গ্রহন করে। যদি এটি হয় তার উদ্দেশ্য, তাহলে তার কাছে বাকি সবকিছুর কোন অর্থ নেই।

Reactions

Post a Comment

0 Comments