ক্ষমা
ক্ষমতা
থাকা সত্বেও কাউকে ক্ষমা করে দেয়া হচ্ছে রাসূলদের (আঃ) এবং আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে
যারা ভয় করে তাদের গোপন রহস্য। ক্ষমা হলো তা যখন তুমি তোমার সাথীকে বাহ্যিকভাবে সে
যে অন্যায় করেছে তার জন্য তাকে অভিযুক্ত কর না, যখন তুমি সেই কারণকে ভুলে যাও যা ভেতরে
কষ্টের সৃষ্টি করেছে এবং যখন তুমি তোমার পছন্দে বিরাট উদারতা প্রদর্শণ কর তার উপরে
তোমার ক্ষমতা থাকা সত্বেও। কেউ ক্ষমায় পৌছানোর পথ পায় না শুধু সে ছাড়া যাকে আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তায়ালা ক্ষমা ও মার্জনা করে দিয়েছেন সে যে গুনাহ করেছে তা থেকে এবং যে
কাজ সে ফেলে রেখেছিল তার জন্য; এবং যাকে তার সম্মানের পদক দিয়ে সাজানো হয়েছে এবং তার
জ্যোতির নূরের পোশাক পরানো হয়েছে।
এটি
এজন্য যে ক্ষমা ও মার্জনা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার দু’টো গুণাবলী যা তিনি আমানত রেখেছে তাঁর বিশুদ্ধ বন্ধুদের ভিতরে যেন তাদের
সৃষ্টিকর্তা ও নির্মাতা সৃষ্টির সাথে যেমন আচারণ করেন তারাও সেরূপ আচরণ অবলম্বন করে।
এজন্য তিনি বলেছেন, “তাদের উচিত ক্ষমা করা ও উপেক্ষা করা। তোমরা কি চাও
না যে আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন? আর আল্লাহ ক্ষমাশীল, করুণাময়।” ( সূরা নূর : ২২)
যদি
তুমি তোমার মত একজন মরণশীলকে ক্ষমা না কর তাহলে তুমি কীভাবে সর্ববাধ্যকারী বাদশাহর
পক্ষ থেকে ক্ষমা আশা কর?
রাসুলুল্লাহ
(সাঃ) বলেছেন, তার রব তাকে আদেশ করেছেন এ গুণগুলো
ধারণ করতে এই বলেঃ “ তার সাথে একতাবদ্ধ হও যে তোমার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন
করে এবং তাকে ক্ষমা করো যে তোমার প্রতি অন্যায় করে; তাকে দান কর যে তোমাকে বঞ্চিত করে
এবং তার প্রতি ভালো ব্যবহার করো যে তোমার সাথে খারাপ ব্যবহার করে।” তিনি আমাদেরকে আদেশ করেছেন তাকে অনুসরণ করার জন্য। আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তায়ালা বলেছেন, “ রাসূল তোমাদের যা দেয়, তা গ্রহন করো এবং যা তিনি
তোমাদের নিষেধ করেন তা থেকে সরে থাকো।” ( সূরা হাশর: ৭)
ক্ষমা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার একটি গোপন রহস্য যা তাঁর বাছাইকৃত ব্যক্তিদের অন্তরে আছে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “ তোমাদের মধ্যে কেউ কি আবু দামদাম-এর মতো ক্ষমতা রাখো?” - তারা বলল, “ হে আল্লাহর রাসূল, আবু দামদাম কে?” রাসূল (সাঃ) বললেন, “ তোমাদের একজন পূর্বপূরুষ যে সকালে ঘুম থেকে জেগে বলতো, হে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা, সাধারণ জনগণ কর্তৃক আমার সম্মানহানী করাকে আমি ক্ষমা করে দিয়েছি।”
সতর্ক
করা
সতর্ক
করার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি হলো যখন কথা সত্যের সীমানা অতিক্রম না করে এবং কাজসমূহ আন্তরিকতার
সীমানা অতিক্রম না করে। সতর্ককারী ও যাকে সতর্ক করা হচ্ছে তারা একজন জাগ্রত ও অন্যজন
ঘুমন্ত ব্যক্তির মতঃ যে ব্যক্তি নিজের কথা অগ্রাহ্য করার স্বভাব, বিরোধীতা ও বিদ্রোহের
ঘুম থেকে জেগে ওঠে, অন্যদের ঐ ঘুম থেকে জাগিয়ে সে ভালো কাজ করে।
যে
ব্যক্তি সীমালঙ্ঘনের মরুভূমিতে ভ্রমণ করে এবং নিজেকে নিমজ্জিত করে বিভ্রান্তির বন্যতায়,
তার মার্জিত স্বভাব ত্যাগ করে কেবল সুনাম, লোক দেখানো এবং বিখ্যাত হওয়ার ভালোবাসায়,
তাদের সময় নষ্ট করে যারা সৎকর্মশীলতার পোশাক পরেছে - তার বাইরের চেহারা প্রকৃত অবস্থাকে
লুকিয়ে রেখেছে যা তার ভেতরে আছে। বাস্তবে সে ভেতরে শূণ্য এবং তার ভেতরের দেউলিয়াত্ব
ডুবে গেছে প্রশংসার ভালোবাসায় এবং ঢেকে গেছে লোভের অন্ধকারে। কতই না প্রতারিত সে তার
কামনা বাসনার মাধ্যমে। কীভাবেই না সে জনগণকে পথভ্রষ্ট করে তার কথায়! আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তায়ালা বলেছেন, “ নিশ্চয়ই খুব খারাপ এই অভিভাবক এবং নিশ্চয়ই খুব খারাপ
এই সাথী।” (সূরা হাজ্জ : ১৩)
কিন্তু
যাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা রক্ষা করেছেন তাওহীদের আলো, সমর্থন এবং সুন্দর সফলতা
দিয়ে, তার অন্তরকে অপবিত্রতা থেকে পরিস্কার করা হয়েছে। সে নিজেজে ইরফান (আধ্যাত্মিক
জ্ঞান) থেকে এবং সতর্কতা অবলম্বন থেকে বিচ্ছিন্ন করে না; সে পথভ্রষ্ট লোকের কথাগুলো
শোনে অথচ বক্তাকে উপেক্ষা করে - সে যেই হোক। প্রজ্ঞাবানরা বলেছেন, “ প্রজ্ঞা গ্রহন করো যদি তা কোন পাগলের মুখ থেকেও আসে।” ঈসার (আঃ) কথা অনুযায়ী,“ তার সাথে বসো যে তোমাকে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার
কথা স্মরণ করিয়ে দেয় যখন তুমি তাকে দেখতে পাও ও তার সাক্ষাতে যাও, সে যখন কথা বলে তখন
তা সংরক্ষণ কর। সে ব্যক্তির সাথে বসো না যাকে তোমার বাইরের সত্বা গ্রহন করে কিন্তু
ভিতরের সত্বা যাকে প্রত্যাক্ষান করে।” অর্থ হলো সে ঐ ব্যক্তি যে তার দাবি করে যা তার ভেতরে
নেই; যদি তুমি আন্তরিক হও তাহলে তারা তোমার দিকে ঝুঁকবে। যখন তুমি কাউকে এ তিনটি গুণ
সম্পন্ন দেখবে, তখন তাকে দেখার ও তার সাথে সাক্ষাত করার সুযোগ গ্রহন করো এবং তাদের
সাথে বসো, যদি তা শুধু এক ঘণ্টার জন্যও হয়। এর একটি প্রভাব পড়বে তোমার বিশ্বাস, তোমার
অন্তর এবং তোমার ইবাদতের উপর - তার বরকতে।
যদি
কোন ব্যক্তির কথা তার কাজকর্মকে অতিক্রম না করে, যার কাজকর্ম তার সত্যবাদীতাকে অতিক্রম
করে না এবং যার সত্যবাদীতা তার রবের সাথে তর্ক করে না, তাহলে তার সাথে শ্রদ্ধার সাথে
বসো এবং রহমত ও বরকতের জন্য অপেক্ষা করো। তোমার বিরুদ্ধে প্রমাণের বিষয়ে সাবধান হও
এবং তোমার সাথে তার সময়কে প্রীতিকর কর, যাতে তুমি তাকে তিরস্কার না কর এবং ক্ষতিগ্রস্ত
না হও। তার প্রতি তাকাও তার উপর আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার নেয়ামত ও তাকে তাঁর নির্বাচন
করা এবং তাকে তাঁর মর্যাদা দেয়ার দৃষ্টি দিয়ে।
পরামর্শ
সবচেয়ে ভালো পরামর্শ ও সবচেয়ে যা জরুরী তাহলো তুমি যেন তোমার রবকে ভুলে
না যাও এবং যেন তুমি তাঁকে সবসময় স্মরণ রাখো এবং তাঁর বিরুদ্ধে বিদ্রোহ না করো এবং
যেন তুমি তাঁর ইবাদত করো - হোক দাঁড়িয়ে অথবা বসে। তাঁর নেয়ামত দেখে অন্ধ হয়ে যেও না
এবং তাঁর প্রতি সব সময় কৃতজ্ঞ থাকো। তাঁর কুরুনা, বিশালতা ও নিরাপদ ছাতার নিচ থেকে
বেরিয়ে যেও না - এতে হয়তো তুমি পথভ্রষ্ট হয়ে যাবে এবং ধ্বংসের মুখে পড়ে যাবে, যদি এমনও
হয় যে দুঃখ-কষ্ট ও দুর্দশা তোমাকে স্পর্শ করেছে এবং পরীক্ষার আগুন তোমাকে পুড়ছে। জেনে
রাখো, যে দুঃখ-দুর্দশা তিনি পাঠান তা তাঁর চিরস্থায়ী সম্মানের পদক দিয়ে পূর্ণ এবং যে
পরীক্ষায় তিনি ফেলেন তা তাঁর সন্তুষ্টি ও নৈকট্য আনে। এমনও যদি হয় তা কিছু সময় পরে
আসে। কী নিয়ামতই না আছে সে ব্যক্তির জন্য যার জ্ঞান আছে এবং যাকে সেখানে সফলতা দান
করা হয়েছে।
বর্ণিত আছে যে কেউ একজন রাসুলুল্লাহর (সাঃ) পরামর্শ চাইলো, তিনি বললেন,
Ò কখনও রাগ হয়ো না, কারণ রাগের ভিতর আছে তোমার রবের বিরোধিতা। ওযর দেখানোতে
সাবধান থেকো, কারণ এর ভিতরে আছে লুকানো শিরক। নামায পড়ো তার মত যে চির বিদায় নিচ্ছে,
কারণ এর ভিতরে আছে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সাথে যোগাযোগ এবং তাঁর নৈকট্য। আল্লাহ
সুবহানাহু ওয়া তায়ালার সামনে বিনম্র হও যেভাবে তুমি তোমার সৎকর্মশীল প্রতিবেশিদের সামনে
বিনম্র হও,কারণ এর ভেতরে আছে ইয়াক্বীন-এ বৃদ্ধি।Ó
আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালা আমাদের [নবী পরিবার (আঃ)] দূরবর্তী ও নিকটবর্তী
সব পূর্বপুরুষদের উপদেশগুলোকে একক বৈশিষ্ট্যে একত্র করেছেন।
সতর্কতা (তাক্বওয়া)
আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তায়ালার ভাষায়ঃ
Ò নিশ্চয়ই আমরা তোমাদের আদেশ দিয়েছি
- যাদেরকে তোমাদের আগে কিতাব দেওয়া হয়েছিল এবং তোমাদেরও যে, তোমাদের উচিত আল্লাহর প্রতি
( তোমাদের দায়িত্বে) সতর্ক হওয়া।Ó ( সূরা নিসা : ১৩১)
প্রত্যেক নির্ভুল
ইবাদতের সারাংশ হচ্ছে এটি : তাক্বওয়ার মাধ্যমেই মানুষ উচ্চ স্থান ও সর্বোচ্চ মর্যাদা
লাভ করে। তাক্বওয়ার মাধ্যমেই মানুষ একটি ভালো জীবনযান করে যেখানে আছে সার্বক্ষণিক সাহচর্য।
Ò নিশ্চয়ই যারা পাহারা দেয় (অন্যায়ের
বিরুদ্ধে) তারা থাকবে বাগানগুলোতে এবং নদীগুলোতে - সম্মানের আসনে সবচেয়ে শক্তিশালী
বাদশাহর সাথে।Ó ( সূরা কামার
: ৫৪-৫৫)
পূর্ণ আস্থা রাখা
( তাওয়াক্কুল)
তাওয়াক্কুল একটি
পেয়ালা যা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালার কাছে মুখ সীল করা অবস্থায় আছে : কেউ এ থেকে
পান করতে পারবে না এবং এর সীল ভাঙতে পারবে না আস্থাশীলরা ছাড়া। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া
তায়ালা বলেছেন, Ò আল্লাহর উপরে
শুধু আস্থাশীলরা নির্ভর করুক।Ó( সূরা ইব্রাহীম : ১২)
Ò আল্লাহর উপরেই তোমাদের নির্ভর
করা উচিত যদি তোমরা বিশ্বাসী হয়ে থাকো। ( সূরা মায়েদা : ২৩)
আল্লাহ সুবহানাহু
ওয়া তায়ালা তাওয়াক্কুলকে বিশ্বাসের চাবি বানিয়েছেন এবং বিশ্বোসকে তাওয়াক্কুলের তালা
বানিয়েছেন। তাওয়াক্কুলের বাস্তবতা (হাক্বীক্বাত) হলো নিজের উপরে অন্যদের অগ্রাধিকার
দেযা। অন্যদের অগ্রাধিখার দেওয়ার মূল হচ্ছে অন্য ব্যক্তির দাবিকে এগিয়ে দেওয়া। যে আস্থা
রাখে সে তার আস্থাতে দুটো অগ্রাধিকারের একটিকে ক্রমাগতভাবে সত্যায়ন করে যায়। যদি সে
সৃষ্টিকে অগ্রাধিকার দেয় তাহলে এটি হয়ে যায় একটি পর্দা যাতে সে ঢেকে যায়। যদি সে আস্থার
কারণের সৃষ্টিকর্তা আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তায়ালাকে অগ্রাধিকার দেয় তাহলে সে তার সাথে
থাকে। যদি তুমি তাওয়াক্কুলের মানুষ হতে চাও এবং সৃষ্টির মানুষ হতে না চাও তাহলে তোমার
রুহের উপর পাঁচ বার তাকবীর বলো এবং তোমার সব আশাকে বিদায় জানাও যেভাবে মৃত্যু বিদায়
জানায় জীবনকে।
সবচেয়ে নীচের
স্থানের তাওয়াক্কুল হলো তোমার অগ্রযাত্রার সামনে তোমার সর্বোচ্চ আশাকে স্থান দেয়া,
এছাড়া আর কিছুই নয়। তোমার না উচিত তোমার অংশ চাওয়া, না দেখার চেষ্টা করা তোমার কিসের
অভাব আছে, কারণ এদু’টোর যে কোন একটি তোমার ঈমানের বন্ধনকে
ছিঁড়ে ফেলবে আর তুমি তা বুঝতেও পারবে না। যদি তুমি সত্যিকারভাবেই দৃঢ় প্রতিজ্ঞ থাকো
যে তাওয়াক্কুলকারীদের একটি পদক নিয়ে বেচে থাকবে এ দুটো অগ্রাধিকারের যে কোন একটি বিষয়
তাঁর উপর তাওয়াক্কুল করার মাধ্যমে তাহলে এ ঘটনাটি
দৃঢ়ভাবে ধরে রাখো। বর্ণিত আছে তাওয়াক্কুল সম্পন্ন এক ব্যক্তি ইমামদের (আঃ) একজনের
কাছে এলো এবং তাকে বলল, Ó তাওয়াক্কুলের বিষয়ে একটি প্রশ্নের
উত্তর দিয়ে আমার প্রতি দয়া করুন।Ó
ইমাম জানতেন যে ঐ ব্যক্তির ছিল প্রশংসনীয় তাওয়াক্কুল ও অসাধারণ (তাক্বওয়া) সতর্কতা এবং তিনি ঐ ব্যক্তি প্রশ্ন করার আগেই দেখতে পেয়েছিলেন যে, সে যে প্রশ্ন করেছিলো তার বিষয়ে সে আন্তরিক। তিনি বললেন, Òতুমি যেখানেই আছো সেখানেই থাকো এবং সাথে কিছুক্ষণ অপেক্ষা করো।Ó যখন তিনি তার উত্তর সাজাচ্ছিলেন একজন দরিদ্র লোক পাশ দিয়ে যাচ্ছিলো। ইমাম তার পকেটে হাত দিলেন এবং কিছু বের করলেন এবং দরিদ্র লোকটিকে তা দিলেন। এরপর তিনি প্রশ্নকারীর দিকে ফিরে বললেন, Òআসো এবং জিজ্ঞেস করো সে সম্পর্কে যা তুমি দেখেছো।Óলোকটি বলল, হে ইমাম, আমি জানি যে আপনি আমাকে প্রশ্নটির উত্তর দিতে পারতেন আমাকে অপেক্ষা করানোর আগেই। তাহলে কেন আপনি দেরি করলেন? এবার ইমাম বললেন, Ò বিশ্বাস হচ্ছে আমি বলার আগেই অর্থের উপর চিন্তা করা। কারণ কীভাবে আমি আমার গভীরতম সত্তার বিষয়ে অবহেলা করতে পারি যখন আমার রব তা দেখতে পান? আমি কীভাবে তাওয়াক্কুলের বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করতে পারি যখন আমার পকেটে একটি মুদ্রা রয়েছে? আমার জন্য অনুমতি নেই যে তাওয়াক্কুলের বিজ্ঞান নিয়ে আলোচনা করবো যতক্ষণ না আমি তাকে তা (মূদ্রাটি) দিয়েছি। অতএব বুঝে নাও।” প্রশ্নকারী গভীর নিশ্বাস ফেললো এবং শপথ করলো যে যতদিন সে বেঁচে আছে সে কোন বাড়িতে আশ্রয় খুঁজবে না, না মরণশীল কারো উপর নির্ভর করবে।
0 Comments